জীবন পথের সাথী।
লিখেছেন লিখেছেন আওণ রাহ'বার ১৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৫৪:১২ রাত
পানির আলতো স্পর্শ চোখে লাগাতে গভীর ঘুমে পার্শ্ব পরিবর্তন রাহিক, কিন্তু! মিহিমিহি পানির ফোঁটা চোখে ঝর্ণাধারার মত আসাতে চোখ মুছতে মুছতে বিছানায় উঠে বসতেই হলো।
চায়ের কাপের টুং টাং টুং টাং কানে পড়ায় চোখের পাতা উঠিয়ে দেখলো যাহ্'রা চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! ওর হাতের চায়ের কাপের টুং টাং শব্দ রাহিকের পৃথিবীতে অন্যরকম ভালো লাগার একটি শব্দ! অবাক নয়নে বিমুগ্ধ হয়ে শুনছে আর শুনছে...
হঠাৎ একটু সামনে এসে যাহ্'রা খুব জোরে একটি চিমটি কেটে দিলো রাহিকের গালে। উপসসস!!!!!!!! বিয়ের দশ দশটা বছর চলে গেলো তিন, তিনটা বাবুর মা কিন্তু ওর স্বভাবটা এখনও বাচ্চা বাচ্চা।
কানে কানে বললো জনাব তাহাজ্জুদ এর সময় যায় যায় আর আপনি এখনও ঘুমাচ্ছেন?
রাহিক গালে আলতো করে হাত বুলিয়ে... ওহ্ তাইতো!!!
এই শীতের রাতে অজুর পরে এক কাপ চা সত্যিই অসাধারণ। চায়ের কাপে চুমুক লাগিয়ে রাহিক মনে মনে ভাবে এই মায়াবী মেয়েটিকে ছাড়া একটি মুহুর্তও থাকতে পারবেনা ও। চা পান করে নামাজে দাড়িয়ে গেলো রাহিক। নামাজ শেষে যাহ্'রাকে বললো যাহ্'রা তুমি নামাজ পড়লে না?
জ্বী জনাব আজিকে তাহাজ্জুদ পড়েই আপনাকে ডেকেছি বলেই রান্নাঘড়ের দিকে চলে গেলো যাহ্'রা! এদিকে রাহিক দু হাত তুলে মহান রবের দরবারে মুনাজাতরত অবস্থায়ঃ ইয়া আল্লাহ আপনি বড়ই মহান আমার শত অযগ্যোতা সত্ত্বেও আমার মত গুনাহগার বান্দাকে এরকম নেককার জীবন সাথী দান করেছেন। আপনার দরবারে হাজারো শুকরিয়া। আপনি আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে যেমন সাথী করেছেন আখিরাতেও আমাদেরকে সাথী হিসেবে কবুল করুন। ইয়া আল্লাহ আমাদের সন্তানদেরকে আপনি নেককার হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
দোয়া শেষ করে দেখলো যাহ্'রা দস্তরখানা বিছিয়ে নুডলস, সেমাই, ফিন্নি সহ অনেক রকম নাস্তা সাজিয়েছে।
হঠাৎ রাহিক রেগে গিয়ে বললো যাহ্'রা আজকে রাতে তুমি ঘুমাওনি?! এভাবে রাত জাগলে তো তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে। আজকে আমি কিছুই খাবোনা! তুমি পেয়েছোটা কি?
রাহিকের কথা শুনে ছলছল নয়নে ইনিয়ে বিনিয়ে যাহ্'রা বললো আজকের জন্য প্লিজ আর কখনও এরকম হবেনা।
যাহ্'রার এই একটি অস্ত্রের কাছে রাহিকের সবসময়ই হার মানতে হয়। আজকে ও পুরো পাথর হয়ে রইলো; কোনমতেই হার মানবেনা। কিন্তু হার মানতেই হলো। কেনো যেনো মেয়েটির এই অশ্রুকে রাহিক একদমই বরদাস্ত করতে পারেনা । শত কঠিন মনও বারবার হেরে যায়। দস্তরখানায় বসে বিসমিল্লাহ বলে দুজনেই খাওয়া শুরু করলো, রাহিক যাহ্'রার চোখের অশ্রু মুছে খাইয়ে দিতে দিতে বললো এই বোকা মেয়ে এভাবে রাত জাগতে থাকলে তো তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে আর তুমি অসুস্থ হলে আমার কত কষ্ট লাগবে বলোতো? যাহ্'রাও রাহিককে খাইয়ে দিলো আর বললো আমি আর কখনও এরকম করবোনা। খাওয়ার পর্ব শেষ করে রাহিক একটু বিছানায় বসলো এই সুযোগে যাহ্'রা এসে রাহিকের উরুতে মাথা রেখে গভীর ঘুমের রাজ্যে চলে গেলো.....
তখনই হঠাৎ মিহিমিহি বৃষ্টি শুরু হলো এবং বিদ্যুৎ চলে গেলো....এই বিদ্যুত বেটার যাওয়ার আর সময় হলোনা সময় অসময় হুহ। রাহিক মোবাইল অণ করলো এবং দেখলো আজকে জুলাই মাসের ২৭ তারিখ!!!! আজকেতো তাদের বিবাহ বার্ষিকী আর এজন্য যাহ্'রা সারারাত ঘুমায়নি!?
আহ!! আফসোসের সাথে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলো রাহিক। হায় এই মেয়েটি বিয়ের দিনটিকে এভাবে মনে রেখেছে! আর তাই আমার জন্য সারাটি রাত কষ্ট করেছে। আর আমি???
মনের অজান্তে চোখ দিয়ে দু- ফোঁটা পানি বের হয়ে গেলো রাহিকের। আর সে চলে গেলো স্মৃতির গহীনে বিয়ের পূর্বের জীবনে।
এইতো চোখের পলকে দশ-দশটি বছর পার হয়ে গেলো এইতো সেদিন রাহিককে কত মেয়েরা ভালোবাসার প্রস্তাব দিতো। কিন্তু রাহিক মাথা নিচু করে বলতো আমি এক আল্লাহকে ভয় করি। রাহিক যখন দাড়ি রাখা শুরু করলো প্রেম নামক নাজায়েজ ফিতনা থেকে আল্লাহ তাকে হেফাজত করলেন। রাহিকের দাড়ি দেখে সবাই চোখ টিপ্পনী কাটতো আর বলতো এ ছেলের ভাগ্যে কোন বউ নেই, মজা করে অনেকে চাচা নামে ডাকতো। আরো কত কি.....
কিন্তু রাহিক আল্লাহ পাকের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাষ রেখে শুধুই হাসবুনাল্লাহ জিকির করতো। কতো রাত যে তাহাজ্জুদে মহান রবের দরবারে রোনাজারি করেছে "ইয়া আল্লাহ আমাকে নেককার জীবনসাথী দান করুন"। কত টাকা সাদাকাহ্ করেছে। কতদিন রোজা রেখেছে। কারন সে জানতো একজন নেককার সাথীর সাহায্যেই মাঞ্জীলে মাকসাদে পৌছুতে পারবে। কিন্তু একজন খারাপ সঙ্গীর দ্বারা যে কোন সময় সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হতে পারে। তাই মহান রবের দরবারে পবিত্রা নেককার সাথীর জন্য দোয়া করতো আর সে এ কথার দৃঢ় বিশ্বাষ রাখতো যে "যে পবিত্র তার জন্য পবিত্রা আর যে খবিস তার জন্য খবিসা, আর এটাই রবের দরবার থেকে নির্ধারিত" রাহিক ইয়াক্বিন করতো "এই যুবক বয়সে যদি সে পবিত্র থাকে কোন হারাম ডাকে সাড়া না দেয় তো কিয়ামতে মহান আল্লাহর আরশের নিচে যায়গা পাবে।" তাই সে কোনদিন অপবিত্র পথে যায়নি, অপবিত্র ডাকে সাড়া দেয়নি। সবসময় তাকাওয়া অবলম্বন করেছে। আস্তে আস্তে করে তার দেনমোহর এর টাকা জমিয়েছে। কত কষ্ট করে যে টাকা জমিয়েছে আল্লাহ দেখেছেন। যদিও সে যাহ্'রাকে অনেক দেনমোহর দিতে পারেনি কিন্তু তার সাধ্য অনুযায়ী পুরো দেনমোহর এর টাকাটাই বিয়ের সময়ই যাহ্'রাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলো। যখন দেনা পাওনার কথা উঠেছিলো আশপাশ থেকে, রাহিক স্পষ্ট করে বলেছিলো আমি একটি সুতাও চাইনা।
আল্লাহ রাস্তাকে আমালের দ্বারা খুব সহজেই খুলে দিয়েছিলেন। তার পরিবার তার জন্য মেয়ে দেখেন মেয়েটিকেও তার পছন্দ হয় একনজরে। কিন্তু কেনো? তা সে জানেনা কারন বাহ্যিক দিক থেকে মেয়েটি তেমন সুন্দর না। কিন্তু কেমন যেনো একটি নুর মেয়েটিকে আলোকিত করে তুলেছে। সহজ- সরল কথা মনকে তৃপ্তি দিয়েছে শুধু একটি প্রশ্ন করেছিলো ও? আপনার জীবনের উদ্দেশ্য কি? যাহ্'রা উত্তর দিয়েছিলো এক আল্লাহর সন্তুষ্টিই আমার জীবনের উদ্দেশ্য। সন্তুষ্ট চিত্তে রাহিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতো কিন্তু
পরিপূর্ণ নিয়ত করে যে এস্তেখারা ছাড়া কোনো ডিসিশনই নেবেনা। এস্তেখারা করার পর সে স্বপ্নে দেখে "মেয়েটির হাত ধরে ও রাস্তায় হাটছে এবং অঝড় ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ হচ্ছে"। স্বপ্নটি দেখার পড় আর দেরি না করে বিয়ের পিড়িতে বসে পড়লো রাহিক।
তার স্পস্ট মনে আছে ইমাম সাহেব যখন বিয়ের খুতবা পড়ছিলেন ঠিক সেই মুহুর্তে বৃষ্টিরা বিয়েটাকে রহমতের ধারায় ভাসিয়ে দিয়েছিলো আর আজ পর্যন্ত রাহিকের জীবন মহান রবের রহমতে সিক্ত। বাসর রাতে রাহিক যাহ্'রাকে প্রশ্ন করেছিলো যাহ্'রা তোমার সবচেয়ে প্রিয় কি? যাহ্'রা উত্তর দিয়েছিলো আপনার প্রিয় বিষয়গুলো আমারো প্রিয়। রাহিক এই উত্তর শুনে মহান রবের দরবারে সেজদায় পড়ে গিয়েছিলো, সেই রাতে যাহ্'রাকে নিয়ে শুকরানা নামাজ পড়েছিলো। রাহিক সুরা আর-রহমান যাহ'রাকে মুখস্ত তিলাওয়াত শুনিয়েছিলো। যাহ'রার হাত ধরে বলেছিলো তোমার এই হাতটি ধরে আমি জান্নাতের পথে যেতে চাই তুমি কি আমাকে সাহায্য করবেনা যাহ্'রা?
যাহ্'রাও ওর হাতটি ধরে বলেছিলো জান্নাতের পথে আমি আপনার সাথী হতে চাই।
আর আজকে সেই হাতটি ধরেই একে একে পার হয়ে গেলো দশটি বছর। আর আজ সেই বিশেষ দিন।
রাহিক এর চোখ দিয়ে অশ্রু বের হয়ে টপটপ করে যাহ্'রার গালে পড়লো। অশ্রুর পানি টের পেয়ে যাহ্'রা আচমকা উঠে রাহিককে বললো আপনি কাঁদছেন কেনো? আমার কোন আচরনে কষ্ট পেয়ে থাকলে বলুন আমি সেটা ঠিক করে নেবো। প্লিজ আপনি কাঁদবেন না। রাহিক যাহ্'রাকে আপন করে জড়িয়ে নিয়ে অশ্রু ভেজা চোখে বললো যাহ্'রা তোমাকে ছাড়া আমি এক মুহুর্তও থাকতে পারবো না এক মুহুর্তও না। আমি অনেক দুঃখিত তোমাকে না বুঝেই বকা দিয়েছি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করো। যাহ'রা স্বামির অশ্রু দেখে নিজ হাতে প্রিয়তমর অশ্রু মুছতে মুছতে ছলছল নয়নে বললো ছিঃ এসব কি বলছেন আপনি? আপনিতো খুবই উত্তম স্বামী আপনি আমার জীবন পথের সাথী।
তখনই বাতাসে মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি "আছ্ ছলাতু খইরুম মিনান্নাওম" ভেসে উঠলো।..............
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ শ্রদ্ধেয়া আপু "আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি" এবং
রেহনুমা বিনত আনিস।
বিষয়: বিয়ের গল্প
৫২৬৩ বার পঠিত, ১৭০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু বাবুদেরকে ছেড়ে প্রবাসে থাকাটা বেশ কষ্টের।
আল্লাহ আপনার কষ্টের উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন।
যেখানে আপনার জন্য আল্লাহ ভালো রেখেছেন সেখানেই আল্লাহ আপনাকে রাখুন। আমিন
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার সুন্দর মন্তব্যগুলো প্রেরনা যোগায়।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
মধুতেও যেন চিনি দেয়া...
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
বিয়ে নিয়ে কুব তালাতালি একতা পোষ্ট লেকো।
অপকায় আতি
অনেক শুকরিয়া।
এতো বুদ্দি কৈ শিখছো??
পুরোটা পড়লাম খুব ধীরে ধীরে মনযোগ সহকারে। একদম আমার মনের মতোই হয়েছে এসো আমার বুকে এসো
কিছু কিছু ইমো কাজ করেনা আমি জানি নো প্রবলেম হারিকেন এই নাউ হাতিড়ি
আমার মত চাষাভুষার লিখাটি নীল ভাইয়ার ফেমাস পেজে শেয়ার হওয়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া
কেক আলহামদুলিল্লাহ।
চা চাই
আপনার লিখাও বেশি বেশি পড়তে চাই।
[ রোজা আপু, আরোহী আপু, সাদিয়া আপু, রোদেলাপুকে অনেক মিস করছি ]
রোজা আপু, আরোহী আপু, সাদিয়া আপু, রোদেলাপুকে অনেক মিস করছি ।
সাদিয়া আপু আজ ইতালি অবতরন করার পরে আবার ইনশাআল্লাহ সবাই সগৌরবে হাজির হবেন আশা করি
শুকরিয়া আপুজ্বী চা এর জন্য শুনে বেশ ভালো লাগলো আপুরা আজিকে আসিতেছেন।
আপনার লেখার হাত দারুন সুন্দর ! আরো আরো মিষ্টি মিষ্টি গল্প চাই , আমি আবার মিষ্টি গল্পের পোকা কিনা !
আলহামদুলিল্লাহ আপনার শব্দভাণ্ডার বেশ শক্তিশালী। আপনার সুন্দর মন্তব্যটিতে মনটা ভরে গেলো।
লিখতেতো ইচ্ছা করে কিন্তু লিখতে গেলে থমকে যাই। আমার একটি লিখা আছে কতদিন আগে লিখেছি কিন্তু কেনো যেনো শেষ করতে পারছি না তবে আপনাদের উৎসাহে অবশ্যই সফল হব ইনশাআল্লাহ
আপনার শব্দভাণ্ডার এর আওয়াজ আরো বেশি বেশি শুনতে চাই।
আলহামদুলিল্লাহ আপনার শব্দভাণ্ডার বেশ শক্তিশালী। আপনার সুন্দর মন্তব্যটিতে মনটা ভরে গেলো।
লিখতেতো ইচ্ছা করে কিন্তু লিখতে গেলে থমকে যাই। আমার একটি লিখা আছে কতদিন আগে লিখেছি কিন্তু কেনো যেনো শেষ করতে পারছি না তবে আপনাদের উৎসাহে অবশ্যই সফল হব ইনশাআল্লাহ
আপনার শব্দভাণ্ডার এর আওয়াজ আরো বেশি বেশি শুনতে চাই।
রাহিক ছেলেটা অনেক ভালো। মেয়েরা তাকালেও সে তাকাই নি। আজকাল তো আবার ইনবক্সে হালাল প্রেম থাকে। রাহিক সেটা করেছে কিনা জানা হল না।
যাক। মাসাল্লাহ। আপনার লেখার হাত তো দেখছি অসাধারণ। আরো ভালো হোক এই দোয়া করি। সাব্বাখায়ের।
এতো দেখছি তরুনি সাহিত্যকার, গল্পকার। পদ্মা,মেঘনা, যমুনার সমস্ত পানিতো দেখছি এ ভাঙা ব্লগে এসে পড়লো। এ ব্লগতো পূর্ণ হয়ে উঠলো। ব্লগের ঝড়া ডালগুলো পাতায় পূর্ণ হলো। থেমে যাওয়া ঝর্ণা আবারো প্রবহমান হলো। পাখিরা গাইতে শুরু করলো। বাহ্ বাহ্ কি প্রানচঞ্চলা ঢেউ।কিন্তু; ইকিমনির কলম থেমে গেলো কেনু কেনু কেনু?
[আমি অনেক রাহিককে চিনি যাদের জীবন তাকাওয়া অবলম্বন করেই চলেছে। এবং অনেকের নূন্যতম একটা একাউন্টও নেই ইনবক্স এর জন্য]
আপনার চমৎকার মন্তব্যটির জন্য অনেক শুকরিয়া আপুমনি আপনার দোয়ায় আমিন।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
আপনার নতুন লিখার অপেক্ষায় কিন্তু,
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাই, আইসক্রিমের মত মিষ্টি হয়েছে গল্পটা। ধন্যবাদ। আপনার বউটাও এমন হোক এই দুয়া করছি
অনেক শুকরিয়া এবং শুভকামনা রইলো আপুজ্বী।
রাহবারের জীবনে এর বাস্তবায়ন কবে নাগাদ হচ্ছে?
[জাতি জানতে চায় ফাতিমা আপুর মন্তব্যে গল্পের প্রধান চরিত্রগুলোকে কেনু লেখককে ধরা হয়? ]
আবার তিরে এসে নৌকার তলা ফুটা শেষে নৌকা ডুবি
তাই দেরি
আর কি কমেন্টস করতে হবে
বউ পছন্দ হইছে আমার
বউ পছন্দ হইছে তাই বলছি
তাহলেকি অপছন্দ হইছে বলবো
@রাহবার, বউ পছন্দ হইইইইইছেছেছে
রাহবারের ব্লগে তুমি কমেন্টেস এর উত্তর দিতেছো আবার "আমার ব্লগে" লিখে??? কেনুকেনুকেনু?
সুন্দর মন্তব্যের আন্তরিক ধন্যবাদ
অনেক শুকরিয়া
াআপনি যেন এমনই একটি বৌ পান
যাহ্'রা কিন্তু এর চেয়েও উত্তম যাকে রাহিক (মানে রাহ'বার) এর জন্য তৈরি করা হয়েছে
আর আজকে দেখতে দেখতে ৬টি মাস পার হয়ে গেলো। সত্যিই আপনারা বড়ই মহান। একজন নবীনকে কিভাবে আপন করে নিলেন। আলহামদুলিল্লাহ।
আপনাদের কাছে বিশেষ করে আপনার কাছে লিখাটির জন্য চিরকৃতজ্ঞ।
২টা ছবি চুরি করা অলরেডি ডান।
এই ছবিটাও চুরি করে টুডে ব্লগের ছবি চোরের উপাধিটা আমিই নিয়ে নেবো অপেক্ষা করুন।
অনেক অনেক শুকরিয়া আপু।
বাস্তবায়ন ও খুব শিঘ্রই হবে আশা করছি।
আপনার লেখার হাতকে আল্লাহ্ শাণিত করুন সেই দোয়া করি
আপনার লিখনীও বেশি বেশি চাই।
একটা মন্তব্য করতে তিনদিন লাগে ? আসিতেছি বলে ভেগেছেন।
অনেক শুকরিয়া জান্নাত আপুজ্বী ।
দোয়া করি আপনারাও এমন হন।
আমিও জীবন বীনার তন্ত্রীকে প্রিয়তে নিয়ে ঘুরছি কিন্তু মন্তব্য করতে সময় নিচ্ছি। আরো দু একটা পোষ্ট এর মন্তব্যের ভাষা খোঁজ করছি। দোয়া চাই আমার শব্দভাণ্ডার ও যেনো শক্তিশালী হয়।
আপনার দোয়ায় আমিন আপু।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
কিন্তু ব্যাতিক্রম আছে কিছু কিছু স্থানে।
আর দেরীতে মন্তব্যে গুরুত্ব হারায় এ কথাটির সাথে একমত নই।
গঠনমুলক মন্তব্য দেরিতে হলেও ভালো
"আকর্ষণ না থাকা" আর "গুরুত্ব হারানো" শব্দ দুটো যে একই অর্থ বহন করে সেটা আমার জানা ছিলো না।
আসলে আমি যা বুঝাতে চেয়েছিলাম তা যে এখনো বুঝাতে পারি নাই, সে টা আমি জানতে পারলাম।
শুকরিয়া বৃত্তাপুজ্বী গল্পটি পড়ার জন্য।
স্বাধেই কি ভাঙা হাড়ির শোক করি।
অসংখ্য শুকরিয়া আপুজ্বী ।
এরকম পরিবার সবারই আকাংক্ষা এর জন্যই তাকাওয়া অবলম্বন করা উচিৎ
আমিতো রোজাপুর গল্পে মুগ্ধ হয়েই টুডে ব্লগের ব্লগার যাক আপু মিস্টি গল্প না লিখলে আপুর ব্লগে যেয়ে ঘ্যানঘেনে করতে পারবো । আর আপনি তো আছেনই আপনাকেও লিখতে হবে মুগ্ধ হবার অপেক্ষায় রইলাম।
আপু এ গল্পটি লিখতে তেমন কষ্ট হয়নি কিন্তু একা একা বানান ঠিক করতে গিয়ে খবর হয়ে গেছে
আমি অনেক অনুপ্রেরনিত হলাম এবং আরেকটা গল্প লিখার কাজ হাতে নিলাম।
দোয়া চাই যাতে শেষ করতে পারি।
জাজাকাল্লাহু খাইরান আপু।
বহুত শুকরিয়া শুকরান শুকরান।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা ।
আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।
আপনাকে এ ব্লগে দেখে ভালো লাগছে অনেক
আমার লিখতে হলে তো আপনাদের লেখা বেশি বেশি পড়তে হবে।
তো বেশি বেশি মিস্টি গল্প লিখুন সাথে একটু টক ঝালও দিয়েন
আপু ছবিতে কিন্তু আপনার ছবির কৃতজ্ঞতা আছে। আমি বিশিষ্ট ছবি চোরের টাইটেল নেয়ার একটা প্লান করেছি ।
জাজাকাল্লাহু খাইরান আপু
আপনাকে দেখে মনটা ভরে গেলো।
শুকরিয়া শুকরান শুকরিয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে নতুন করে ভাবনা দেয়ার জন্য।
একটি অসাধারন মন্তব্যের জন্য।
আসলে আমাদের বাংলা সাহিত্যের কিছুই আমাদের দখলে নেই।
অপশক্তি বাংলা সাহিত্যকে নিজেদের কাছে নিয়ে তাদের মত ব্যাবহার করছে। আর আমাদের ইসলামিক লেখক যারা আছেন তারাও তেমন একটা সুবিধা করতে পারছেন না। অবৈধ সম্পর্ক এবং তাদের ধ্যান ধারনা কে তাদের মত করে মিস্টির মত আমাদের মাঝে সুইয়ের মত ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
আর আমরা সেগুলো লুফে নিচ্ছি। কারন আমরা ভালো বিষয়গুলো পাচ্ছিনা।
আলহামদুলিল্লাহ এ ব্লগে অনেক আপুরা আছেন যারা ইসলামিক সাহিত্য নিয়ে কাজ করছেন।
এবং আমরা নতুন করে ভাবতে শিখছি। জীবনটাকে পবিত্র ভাবে গড়ে তোলার জন্য রবের কাছে দোয়া করছি। আল্লাহ আমাদেরকে তৌফিক দান করুন।
আমিন।
গল্পের চিত্রটি আমার চোখে ভাসছে ভুলতে পারছিনা। তুমি masikb ikrampur এ লেখাটি পাঠাতে পার। ঢাকায় পাবে এখন থেকে। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। এগিয়ে যাও তোমার সাথে এই ভাইটিকে পাবে আজিবন ইনশাআল্লাহ।
ভাইয়া আসলে আমি একদম কম লিখি । আদতে লেখকশ্রেণির মানুষ নই তো! তবে নিয়মিত পড়তে এবং মন্তব্য করতে পারি আলহামদুলিল্লাহ
আপনার লিখাগুলো বেশ ভালো লাগে আর আপনি অনেক ভালো লিখেন। তো আপনার বেশি বেশি লিখা পেলে আমার মত নবীনরা অনেক উপকৃত হবো।
ভাইয়া আওণ রাহ'বার এর নামে কোন ফেসবুক একাউন্ট নেই।
আপনি যদি দয়া করে লিখাটি আপনার মত মডারেশন করে পত্রিকাটিতে দিতেন তবে আওণ চিরকৃতজ্ঞ থাকিত।
ব্লগের কারনে আপনার মত শ্রদ্ধেয় একজন বড়ভাইয়া পেয়ে সত্যিই আমি আবেগে আপ্লুত।
জাজাকাল্লাহু খাইরান
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা প্রিয় সাংবাদিক, সাহিত্যিক ইকবাল ভাইয়া।
আল্লাহ আপনাকে শান্তিতে রাখুন সুখে রাখুন আপনার মনের সকল নেক ইচ্ছাকে আল্লাহ পূরন করুন।
আমিন
ইনশাআল্লাহ ভাইয়া । পত্রিকা সংগহ্র করবো ইনশাআল্লাহ ।
আপনার কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেলে বড়ই খুশি এবং কৃতজ্ঞ হইতাম
তার চেয়েও সুন্দর তোমার ওই মনটা
সত্যিই সুন্দর মনের অধিকারী না হলে
এত সুন্দর মিষ্টি গল্প কি লেখা যায় ।
আপনার এই গল্পটি কয়েক বার পড়েছি মন্তব্য করতে না পারায় আজ আবার এসে পড়লাম , আপনারদের এমন সুন্দর লেখনীর মাধ্যমেই আমার এই ঘুনে ধরা সমাজ আবার জাগ্রত হবে এই প্রত্যাশাই রইলাম ।
আল্লাহ পাকের দরবারে হাজারো শুকরিয়া হৃদয় ছোঁয়া মন্তব্যের জন্য। অতঃপর আপনার জন্য রইলো হৃদয়ের গভীর থেকে দোয়া।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে আমি চিন্তার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিলাম। "আল্লাহ আমাকে আপনাদের সামনে এত উত্তম দেখাচ্ছেন অথচ আমি তো জানি আমি যে কি? আল্লাহর কাছে আমি দোয়া করেছি আল্লাহ আপনাদের চোখে আমাকে যেমন সুন্দর করেছেন তেমনি যেনো আল্লাহ আমাদেরকে উত্তম রূপে কবুল করে নিন এবং আমাদের হৃদয়ের কালিমাকে দুর করে দিন। আমিন।
এ ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
জাজাকাল্লাহু খাইরান ভাইয়া।
আমাল কাদিনতা অন্নেক বাল্লু এই একন আমি এতে গেতি।
রোজাপুল ২নম্বল পল্বে তমেন্ত কলে এতেতি। তোমাল দন্য অন্নেক দোয়া লইলো।
আমার আর কোন কমেন্ট ই মনে পরছে না
আপনাদের ভালো লাগা আমাকে অনেক প্রেরনা যোগায়।
বেশ সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার মন্তব্যটিতে নিঃসন্দেহে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরনা পাবো।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
আমি সত্যিই দেখছি কিনা?
আপনার এত ব্যাস্ততা সত্বেও
আপনাকে এ ব্লগে দেখে বেশ ভালো লাগছে। সত্যিই আমি অভিভূত।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্যগুলোও অসাধারন।সবাইকে একটা ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না।
আপনিও বেশ ভালো লিখেন আলহামদুলিল্লাহ ।
আপনার ব্লগে আমার দাওয়াত রইলো ।
আপনাকে একটুকরো ধন্যবাদ।
জাতি জানতে পারতো আমি কেমন লিখি শুধু একদম কম লিখি বিধায় ধরা খাইনা
এক কামড় জলপাই+ এক কামড় আখ(গ্যান্ডারির) ধন্যবাদ
ভাইয়া আমাকে বলতে হবেনা।
আপনি একবার রেসিপিটা ট্রাই করেন উহ্......
যে টেস্ট ....... একেবারে ইয়াম্মি
জমবে কেন জমতেছে............
দুঃখিত হওয়ার কিছুই নাই।
তাড়াতাড়ি আরেকটা পোষ্ট লিখো কমেন্ট করে নেই
আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো শুকরিয়া জানাই জোনাকি।
আকুপাকু শব্দটি শুনে খুব ভালো লাগলো
হা এখন পর্যন্ত আমার জীবনের লিখা এটাই একমাত্র গল্প ।
ভালোলাগার প্রেরনার জন্য অন্নেক শুকরিয়া জাজাকাল্লাহু খাইরান।
I had touched my eyes more times after read your comments.....
How the great comments this are.......
I will try but how could be possible ?
As I not married?
But I will try for more continue about writing.....
Thanks forever for your inspiration..
Barakallahu fik ,,,,
It's for you....
INGSHAALLAH I will try for my best in writing...
but problem was that I had take a long type for writing...
INGSHAALLAH it's will be increase ....
Again JAJAKALLAH
JAJAKALLAH
মন্তব্য করতে লগইন করুন